আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না আওয়ামী লীগ নেতা এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, ‘যারা এখন নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করছে তারা আওয়ামী লীগ করার যোগ্যতা রাখে না। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বলেছি, আমাকে নমিনেশন দিয়েন না। সবাই যেখানে চায় সেখানে আমি বলেছি দিয়েন না। আমাকে অন্যভাবে কাজে লাগান। আমি এমপি না হলে কিছুই হবে না।’
আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় না আনলে দেশ ও মানুষের বড় ক্ষতি হবে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এটা একাত্তরের চেয়েও বড় যুদ্ধ। আমি সারা রাত ঘুমাই না। আমি অন্য কারো মতো না। আমি খবরগুলো পাই। কোন দিক দিয়ে আগাচ্ছে সেগুলো জানি।
আর ওরাও জানে আমি কোন দিক দিয়ে আগাচ্ছি। আমি একজন সোলজার। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আসছে পূজার মধ্যে ও পূজার পরে মরণকামড় দেবে তারা। দেশটাকে ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে চরম অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে ফিলিস্তিনের চেয়েও খারাপ হবে। বড় ধরনের আঘাত আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।’
আজ বুধবার ১১ অক্টোবর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর কাঁচপুরে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভায় শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। আগামী ১৩ অক্টোবর সমাবেশ ঘিরে এ সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুজাফর চৌধুরী বিরু, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম প্রমুখ।
শামীম ওসমান বলেন, ‘১৩ অক্টোবর সমাবেশ ঘিরে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। একটি থানার প্রগ্রাম কতটা বড় ও সফল হয়, নারায়ণগঞ্জ এটা করে দেখাবে। এবার আর বলব না খেলা হবে। সোনারগাঁ থেকে বলব, ফাটাফাটি হবে।’
এদিকে কমিটি প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, ‘অনেকগুলো কমিটি আটকে রেখেছে ঢাকা। আওয়ামী লীগের কমিটি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর কমিটি মুলার মতো ঝুলিয়ে রাখার কারণে দলে গ্রুপিং বাড়ে। অন্তত নারায়ণগঞ্জের কমিটিগুলো দিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। কারণ নারায়ণগঞ্জকে অন্য জেলার সঙ্গে তুলনা করলে হবে না। ঢাকা যা না পারে সেটা নারায়ণগঞ্জ পারবে।’